ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন?

ডিজিটাল যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ব্যবসা করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing) এর গুরুত্ব ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজকাল মানুষ ইন্টারনেট এর মাধ্যমে ঘরে বসে তাদের প্রয়োজনীয় ডিজিটাল প্রোডাক্ট কেনার পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করার ক্ষেত্রেও ইন্টারনেটের হেল্প নিচ্ছে। কাজেই আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রতি ফোকাস না করে এখনো আগেকার পুরনো মানুষের মত ট্রাডিশনাল মার্কেটিং নিয়ে পড়ে থাকলে, আপনি অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতিযোগিতায় ঠিকে থাকতে পারবেন না।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন?

আপনি একজন বিজনেসম্যান হয়ে থাকলে আপনাকে অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হবে। কারণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতেকরে প্রোডাক্ট সম্পর্কে মানুষকে সহজে জানিয়ে দেওয়ার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাইতে সহজ কোন মার্কেটিং ব্যবস্থা বর্তমানে নেই। সঠিকভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারলে, ঘরে বসে খুব অল্প দিনে যেকোন কোম্পানির প্রোডাক্ট মানুষের কাছে পৌছে দেওয়া সম্ভব হবে।

অনলাইনে ক্রয় করার গেটওয়ে কম থাকার কারনে এখনো আমাদের দেশে ডিজিটাল মার্কেটিং খুব বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেনি। তবে যে হারে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে পরিষ্কারভাবে আভাস পাওয়া যাচ্ছে যে, খুব শীঘ্রই আমাদের দেশেও ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবস্থা মার্কেটিং এর বড় একটি জায়গা দখল করে নিবে।


ডিজিটাল মার্কেটিং এর ফলে এক দিকে মানুষ যেমন ইন্টারনেট এর মাধ্যমে ঘরে বসে প্রোডাক্ট কিনতে পারছে, অন্যদিকে ব্যবসায়িরা তাদের পন্য কম খরছে মানুষের কাছে পৌছে দিয়ে সেগুলো বিক্রির মাধ্যমে ব্যবসায় সফল হয়ে উঠছে। সেই সাথে ডিজিটাল মার্কেটাররা তাদের মেধাকে কাজে লাগে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করে ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার এর মাধ্যমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে নিচ্ছে।
বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আপনার ধারনা থাকলে, আপনি যেকোন কোম্পানিতে ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে কাজ করে একটি স্মার্ট এমাউন্ট ইনকাম করে নিতে পারবেন। আমাদের দেশে অসংখ্য ডিজিটাল মার্কেটার রয়েছে, যারা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করছে।

তাছাড়া আপনি যদি বর্তমানে কোন কোম্পানির মার্কেটিং সেক্টরে কাজ করে থাকেন, তাহলেও আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর নিয়ম জেনে নিতে পারেন। মার্কেটিং সেক্টরে কাজ করার পাশাপাশি আপনার কোম্পানিতে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারলে, কোম্পানির কাছে আপনার ভ্যালু অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়ে যাবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি?

ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে ইলেকট্রনিক যন্ত্র বা মাধ্যম ব্যবহার করে সম্পাদিত মার্কেটিংকে বোঝায়। এভাবেও বলা যায় যে, ডিজিটাল মার্কেটিং হলো ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে ব্যবহার করে ইন্টারনেট দুনিয়ায় পণ্য, প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ডের প্রচারনা বা বিজ্ঞাপন দেয়া। তবে বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পন্যের প্রচার বা বিজ্ঞাপন দেওয়া বুঝায়।

সাধারণত কোন পণ্য বা প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন দিয়ে অথবা যেকোন উপায়ে প্রোডাক্ট এর ভালো দিক তুলে ধরে সেগুলো মানুষের কাছে বিক্রি করাকে মার্কেটিং বলে। অর্থাৎ যেকোন উপায়ে প্রোডাক্ট মানুষের কাছে বিক্রি করার জন্য মার্কেটিং করা হয়।

ঠিক একইভাবে ইন্টারনেট, ডিজিটাল মিডিয়া ও ডিজিটাল টেকনোলজি ব্যবহার করে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে কোন প্রোডাক্ট বা পণ্য মানুষের কাছে পৌছে দিয়ে সেগুলো বিক্রি করার কৌশলকে ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing) বলা হয়। মূলত ইন্টারনেট ও ডিজিটাল টেকলোজি ব্যবহার করে মার্কেটিং এর যে সমস্ত কাজ পরিচালনা করা হয়, তাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করবেন?

যারা মার্কেটিং প্রসেস বুঝতে পারেন, তারা সহজে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারছেন। মার্কেটিং এর প্রধান কাজ হচ্ছে, কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট মানুষের কাছে পৌছানো। যত সহজে বেশি মানুষের কাছে প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে মানুষ প্রোডাক্ট কেনার জন্য উৎসাহিত হবে এবং আপনার প্রোডাক্ট তত বেশি সেল হবে।

মার্কেটিং এর প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রোডাক্ট এর প্রচারের মাধ্যমে কাস্টোমারদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া। এ ক্ষেত্রে আপনি একজন দক্ষ মার্কেটার হয়ে থাকলে আপনার করণীয় হবে, কত সহজে কাস্টোমার পাওয়া যায়, সেই পথ বের করে নেওয়া। যেই জায়গাতে বেশি সংখ্যক মানুষ বেশি সময় অবস্থান করে, সেই জায়গাতে পন্যের বিজ্ঞাপন বা মার্কেটিং করাই হচ্ছে একজন সফল মার্কেটার এর কাজ। 
ট্রাডিশনাল মার্কেটিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে পার্থক্য কি?
এক সময় ছিল যখন মানুষ তার পন্যের প্রচার করার জন্য ফেরিওয়ালা দিয়ে বাড়ি বাড়ি পন্য পাঠাত, কিন্তু কালক্রমে আজ সেই ধরনের পদ্ধতি পুরনো হয়ে যাওয়ার কারনে সেই পদ্ধতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তারপর মানুষ বিভিন্ন রেডিও, টেলিভিশন, ম্যাগাজিন ও সংবাপত্রের মাধ্যমে ট্রাডিশনাল বিজ্ঞাপন দিতে থাকে। কারণ মার্কেটাররা তখন বুঝতে পারে মানুষ তাদের অধিকাংশ সময় রেডিও, টেলিভিশন ও সংবাদপত্র পড়ে ব্যয় করে। কাজেই রেডিও এবং টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দিলে সহজে পন্য সাধারণ মানুষ পর্যন্ত পৌছানো যাবে।

কালক্রমে যখন ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া আবিষ্কার হলো তখন মানুষ ফেসবুক ও ইন্টারনেটে আরো বেশি সময় ব্যয় করতে থাকে। তখন সব ধরনের কোম্পানি ও মার্কেটাররা বুঝতে পারে যে, ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়াতে ডিজিটাল মার্কেটিং করলে আরো সহজে অল্প সময়ে যেকোন প্রোডাক্ট মানুষের কাছে পৌছানো সম্ভব হবে। আর সেই থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবস্থা জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে।

ডিজিটাল মার্কেটিং অন্যান্য মার্কেটিং এর চাইতে কম খরছে দ্রুতার সাথে করা যায় বিধায় বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশেষকরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়িরা অল্প খরছে ডিজিটাল মার্কেটিং করার সুযোগ পায় বিধায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর জনপ্রিয় তুমুল হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

আপনি সাধারণ সেন্সে চিন্তা করে দেখুন, একটি নিউজ পেপারের ফ্রন্ট পেজে ছোট্ট করে একটি বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য একটি কোম্পানিকে প্রায় লাখ টাকা’র অধিক ব্যয় করতে হয়। যেটা কোন ছোট খাটো কোম্পানির পক্ষে সম্ভব নয়। তাছাড়া কোন টিলিভিশনে একটি বিজ্ঞাপন দিতে গেলেই ৫-১০ লক্ষ টাকা খরছ করতে হয়। কারণ টেলিভিশন বিজ্ঞাপন তৈরি করা থেকে শুরু করে টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দেওয়ার আগ পর্যন্ত প্রায় ৫/৭ লক্ষ টাকা খরছ হয়ে যায়। আর কোন নায়ক/নায়িকা বা সেলিব্রেটিকে দিয়ে টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দিতে হলে শুধু মডেলকে ১৫/২০ লক্ষ টাকা দিতে হয়। যে খরছ একটি ছোট কোম্পানির পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়।

কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটে মাত্র ৫ ডলার থেকে শুরু করে কোটি টাকা খরছ করে পছন্দমত বাজেটে বিজ্ঞাপ বা মার্কেটিং করা যায়। তাছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচাইতে বড় সুবিধা হচ্ছে ঘরে বসে মার্কেটিং এর কাজ করা যায় এবং নির্দিষ্ট কাস্টোমার ও নির্দিষ্ট এলাকা টার্গেট করে বিজ্ঞপন দেওয়া যায় বিধায় কম খরছে টার্গেট করা কাস্টোমারদের কাছে পন্য মার্কেটিং করা সম্ভব হয়, যেটি অন্য কোন মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা কি?

  • কম খরছে ছোট বড় সকল কোম্পানি ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারে।
  • অল্প সময়ে প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন কাস্টোমারদের কাছে পৌছানো সম্ভব হয়।
  • ঘরে বসে কম্পিউটার দিয়ে মার্কেটিং করা যায় বিধায় কারো কাছে যেতে হয় না।
  • ইন্টারনেটে কোম্পানির ব্রান্ড তৈরি করা যায়, যেটা অন্যকোন উপায়ে সহজে করা যায় না।
  • এলাকা ভিত্তিক বিভিন্ন বয়সের কাস্টোমার টার্গেট করে মার্কেটিং করা সম্ভব হয়।
  • ওয়েবসাইটের প্রচারের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং সবচাইতে সহজ ‍উপায়।
  • ঘরে বসে অনলাইনে প্রোডাক্ট এর অর্ডার পাওয়া যায় বিধায় সহজে পণ্য বিক্রি করা সম্ভব হয়।
  • কাস্টোমারদে সাথে অনলাইনে কমিউনিটি তৈরি করা যায়।
সারা বিশ্বে এখন কম্পিউটার ও ইন্টারনেট এর ব্যবহার বাড়ছে। যত দিন যাবে মানুষ আরো বেশি কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহার করবে। কাজেই যত দিন যাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব ও চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। সে জন্য ভবিষ্যত পরিকল্পনা মাথায় রেখে একজন সফল মার্কেটার হওয়ার জন্য অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং এর দিকে মনোযোগি হতে হবে।

ট্রাডিশনাল মার্কেটিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে পার্থক্য কি?

এখনকার টেকনোলজির যুগে কেন আপনি ট্রাডিশনাল মার্কেটিং বাদ দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিংকে বেশি গুরুত্ব দেবেন, সেটি জানার জন্য ট্রাডিশনাল মার্কেটিং এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর পার্থক্য জেনে নিতে হবে। ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে যে সব পার্থক্য রয়েছে -
  • ট্রাডিশনাল মার্কেটিং করার জন্য বেশি পরিমানে টাকার প্রয়োজন হয়। কিন্তু খুব কম খরছে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়।
  • ট্রাডিশনাল মার্কেটিং এর তুলনায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে দ্রুত পন্যের প্রচার করা যায়।
  • ট্রাডিশনাল মার্কেটিং মার্কেটে নির্দিষ্ট কাস্টোমার টার্গেট করে বিজ্ঞাপন দেওয়া যায় না। কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটে বায়ারদের সরাসরি টার্গেট করে বিজ্ঞাপন দেওয়া সম্ভব হয়।
  • বেশি খরছের কারনে ছোট খাটো কোম্পানি ট্রাডিশনাল মার্কেটিং করতে পারে না। 
  • ডিজিটাল মার্কেটিং একটি সময় উপযোগি মার্কেটিং ব্যবস্থা।

কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন?

ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেকগুলো প্লাটফর্ম রয়েছে। আপনার কোম্পানির ধরণ, কোম্পানির প্রোডাক্ট ও ব্যবসার পরিধি এর বিষয়টি বিবেচনা করে আপনাকে সঠিক প্লাটফর্মটি বেছে নিতে হবে। আমরা আজকের পোস্টে বর্তমান সময়ের আটটি জনপ্রিয় ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে আলোচনা করব।
  1. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  2. গুগল এডওয়ার্ডস
  3. ইউটিউব মার্কেটিং
  4. কনটেন্ট রাইটিং
  5. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও)
  6. ইমেইল মার্কেটিং
  7. এফিলিয়েট মার্কেটিং
  8. মোবাইল এপস মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে এই আটটি প্লাটফর্ম বর্তমানে সবচাইতে জনপ্রিয়। এ ছাড়া আরো অনেক ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং রয়েছে। তবে আজকের পোস্টে সবগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা না করে শুধুমাত্র এই আটটি ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জেনে নিব।

১। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচাইতে বড় মার্কেটপ্লেস হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। পুরো বিশ্বের প্রায় অর্ধেকের বেশি মানুষ এখন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছে। আমাদের দেশের প্রায় ৫ কোটি মানুষ শুধুমাত্র ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়াতে কানেকটেড রয়েছে। সেই জন্য আমাদের দেশে বর্তমানে ফেসবুক মার্কেটিং সবচাইতে জনপ্রিয়। সেই সাথে অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করলে ডিজিটাল মার্কেটিং করে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং - সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ভীতরে আবার অনেকগুলো প্লাটফর্ম রয়েছে। যেমন- ফেসবুক মার্কেটিং, টুইটার মার্কেটিং, ইনস্ট্রাগ্রাম মার্কেটিং, লিংকডিএন মার্কেটিং, পিনটারেস্ট মার্কেটিং ও স্নাপচ্যাট মার্কেটিং ইত্যাদি সহ আরো কিছু সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং রয়েছে। মূলত এই সবগুলো প্লাটফর্ম সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে মানুষ ব্যবহার করে বিধায় মার্কেটিং ক্ষেত্রে এগুলোকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলা হয়।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং আবার দুই ধরনের রয়েছে। যেমন-
  • ফ্রি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
  • পেইড সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বা টাকার বিনিময়ে বিজ্ঞাপন।
ফ্রি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের সাইটে কোম্পানির নামে একটি পেজ তৈরি করে সেগুলোতে প্রোডাক্ট শেয়ার করার মাধ্যমে ফ্রি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করা হয়। সেই সাথে বিভিন্ন ধরনের গ্রুপ তৈরি করে এবং বিভিন্ন গ্রুপে জয়েন করে ফ্রি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করা যায়।

পেইড মার্কেটিং আবার দুই ধরনের রয়েছে। একটি হচ্ছে বিভিন্ন বড় বড় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটারদের সাথে কন্টাকের মাধ্যমে মার্কেটিং করা এবং অন্যটি হচ্ছে সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়াতে ডলার পে করার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করা। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ফ্রি এবং পেইড উভয় মার্কেটিং বেশ জনপ্রিয়।

২। গুগল এডওয়ার্ডস

গুগল এডওয়ার্ডস হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় একটি ডিজিটাল মার্কেটিং প্লাটফর্ম। আপনি বিভিন্ন ব্লগে এবং ওয়েবসাইটে যে সমস্ত বিজ্ঞাপন দেখতে পান সেগুলোর অধিকাংশ হচ্ছে গুগল এডওয়ার্ডস এর বিজ্ঞাপন। সাধারণত গুগল এডওয়ার্ডস এর মাধ্যমে গুগলকে টাকা পরিশোধ করে এ ধরনের বিজ্ঞাপন বা মার্কেটিং করা হয়। যেকোন কিওয়ার্ডকে টার্গেট করে বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে গুগল এডওয়ার্ডস হচ্ছে সবচাইতে জনপ্রিয়।

সাধারণত এ ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিজ্ঞাপন ওয়েবসাইট/ব্লগের পোস্টের ভীতরে, ডানে, বামে, পোস্টের নিচে, ব্লগের হেডার ও ইউটিউব ভিডিওতে শো হয়ে থাকে। এ ধরনের মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন এর ভিউ ও ক্লিক হিসেব করে গুগলকে টাকা পরিশোধ করতে হয়।

৩। ইউটিউব মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং ক্ষেত্রে ইউটিউব এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ বিনোদনের জন্য মানুষ এখন টেলিভিশন এর চাইতে ইউটিউবে বেশি ভিডিও দেখে থাকে। বিশেষকরে ইউটিউবে প্রায় সকল ধরনের ভিডিও পাওয়া যায় বিধায় ইউটিউবে ভিডিও দেখতে সবাই স্বাচ্ছন্দবোধ করে। যার জন্য বিভিন্ন কোম্পানি এখন তাদের প্রোডাক্ট বিপণন ও প্রচারের জন্য ইউটিউবকে কাজে লাগাচ্ছে।

ইউটিউ মার্কেটিয়ে আবার দুই ধরনের প্রসেস রয়েছে। একটি হচ্ছে বিভিন্ন জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেলের সাথে কন্টাকের মাধ্যমে পন্যের রিভিউ ও স্পনসরড ভিডিও তৈরি করা এবং অন্যটি হচ্ছে গুগল এডওয়ার্ডস এর মাধ্যমে সরাসরি ইউটিউবে বিজ্ঞাপন দেওয়া। সাধারণত ভিডিও টাইপের বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে ইউটিউব মার্কেটিং বেশি করা হয়।

৪। কনটেন্ট রাইটিং

প্রত্যেকটি কোম্পানি এখন তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করতে পছন্দ করে। কারণ কোম্পানির নামে একটি ব্লগ তৈরি করে সেটিকে জনপ্রিয় করে তোলা গেলে ব্লগে কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট এর রিভিউ লিখে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সহজে প্রোডাক্ট কাস্টোমারদের কাছে পৌছানো যায়।

আপনি যখন কোন একটি ডিজিটাল প্রোডাক্ট কিনতে চান, তখন প্রোডাক্ট কেনার আগে সেটি আপনার লোকাল মার্কেটে কি পরিমান দামে পাওয়া যাবে, সেটা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করেন। বিশেষকরে কম্পিউটার ও ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে এখন সবাই ইন্টারনেট থেকে ল্যাপটপ এর বিভিন্ন বিষয় জেনে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ ক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটের প্রোডাক্ট পছন্দ হলে কাস্টোমার আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট কেনার জন্য অবশ্যই যোগাযোগ করবে।

৫। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও)

একটি ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বা ভিজিটর বৃদ্ধি করে নেওয়ার জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) করতে হয়। ডিজিটাল মার্কেটে এসইও এক্সপার্টদের বেশ ডিমান্ড রয়েছে। কারণ কেবলমাত্র একজন এসইও এক্সপার্ট আপনার ওয়েবসাইটের প্রোডাক্টগুলো গুগল সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌছে দিতে পারবে।

আপনার ওয়েবসাইটের প্রোডাক্ট গুগল সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌছানোর জন্য অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটটিতে প্রোপার এসইও করতে হবে। কারণ একজন মানুষ কোন ওয়েবসাইটের এড্রেস টাইপ করে গুগলে কোন প্রোডাক্ট খোজে না।

একজন মানুষ যখন কোন প্রোডাক্ট এর প্রয়োজন মনে করে, তখন সেই প্রোডাক্ট এর নাম লিখে সরাসরি গুগলে সার্চ করে। এ ক্ষেত্রে প্রোডাক্ট এর নাম লিখে সার্চ করে আপনার প্রোডাক্ট এর লিংক গুগল সার্চ রেজাল্টের সবার উপরে পাওয়া গেলে ভিজিটর আপনার প্রোডাক্ট কেনার জন্য আগ্রহ দেখাবে। কাজেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) এর অনেক গুরুত্ব রয়েছে।

৬। ইমেইল মার্কেটিং

ইমেইল মার্কেটিং হচ্ছে একটি অনলাইন মার্কেটিং পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনার পন্যের এবং সেবার প্রচার করতে পারবেন। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ছোট বড় অসংখ্য প্রতিষ্ঠান এই পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের আয় বৃদ্ধি করছে। ইমেইল মার্কেটিং হল আপনার ক্রেতাদের কাছে আপনার পণ্যের তথ্য পৌছানোর সবচাইতে কার্যকরী পদ্ধতি।

ইমেইল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে ভিন্ন ভিন্ন বয়সের কিংবা বিভিন্ন ক্যাটাগরির মানুষের মেইল এড্রেস কালেক্ট করতে হবে। তারপর যে পণ্যের মার্কেটিং করতে চান, সেটি নিয়ে ভালভাবে গবেষণা করার পর পন্যের চাহিদার বিষয় বিবেচনা করে বিভিন্ন মেইল এড্রেসে আপনার পণ্যের লিংক পাঠিয়ে দিতে হবে। তারপর সেই ব্যক্তি আপনার প্রোডাক্ট দেখে পছন্দ করলে প্রোডাক্ট ক্রয় করার জন্য আগ্রহ প্রাকাশ করতে পারে। মূলত এভাবে ইমেইল মার্কেটিং করা হয়ে থাকে।

৭। এফিলিয়েট মার্কেটিং

কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট বিক্রি করে কমিশন নেওয়াকে আমরা সাধারণত এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে থাকি। এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনি আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট অনলাইনে বিভিন্ন ব্যক্তির দ্বারা বিক্রি করে নিতে পারেন। এখানে আপনি এফিলিয়েট কমিশন ভোগি হবেন না, আপনি এফিলিয়েট প্রোগ্রাম চালু করে অন্যকে কমিশন দেবেন। বর্তমানে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটে প্রচুর পন্য ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে।

৮। মোবাইল এপস মার্কেটিং

বর্তমান সময় টেকনোলজির যুগ হওয়ার কারনে প্রায় সবার হাতে হাতে স্মার্টফোন রয়েছে। আর প্রত্যেকটি স্মার্টফোনে মানুষ বিভিন্ন ধরনের মোবাইল এপস ব্যবহার করছে। বিশেষকরে গুগল প্লে-স্টোর ও এ্যাপল এপস স্টোরে সহজে বিভিন্ন এপস পাওয়া যায় বিধায় সবাই এখন মোবাইলে তাদের পছন্দের এপস ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করে। 

আর ডিজিটাল মার্কেটাররা সেই সুযোগকে ব্যবসার কাজে ব্যবহার করে তাদের পন্য প্রমোট করে নিচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের এপস তৈরি করে সেগুলোতে প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন দিয়ে সহজে পন্যের প্রচার ঘটানো যায়। তাছাড়া গুগল এডমুব এর মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করে সব ধরনের মোবাইলের এপস এর ভীতরে বিজ্ঞাপন দেওয়া যায়।

ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার

বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক ডিজিটাল মার্কেটার রয়েছে যারা ডিজিটাল মার্কেটিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রহন করে মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করছে। আপনি যদি একজন ডিজিটাল মার্কেটার হতে চান, তাহলে উপরের যেকোন ৪/৫ টি মার্কেটিং সম্পর্কে নিজেকে ভালোভাবে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারেন। তাহলে আপনি ভবিষ্যতে একজন ভালোমানের ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে বিভিন্ন কোম্পানির মার্কেটিং সেক্টরে একটি সম্মানজনক জব করতে পারবেন।

আপনি হয়ত জানেন না যে, বর্তমানে প্রায় সকল ধরনের বড় বড় কোম্পানি তাদের কোম্পানির জন্য অনেক টাকা ব্যয় করে ভালোমানের ডিজিটাল মার্কেটারদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। বিশেষকরে আপনি ফেসবুক মার্কেটিং, গুগল এডওয়ার্ড, ইউটিউব মার্কেটিং ও কনটেন্ট মার্কেটিং বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে, ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে ক্যারিয়ার গঠন করা আপনার জন্য কোন ব্যাপার হবে না।

ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় কি?

আমাদের দেশে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করার ব্যবস্থা রয়েছে। আপনি চাইলে সরকারী প্রতিষ্ঠানে আবেদন করে ভর্তি হয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে নিতে পারেন। তবে সরকারী প্রতিষ্ঠানে শিখতে হলে কিছু বেশী সময় প্রয়োজন হবে। 

আপনি যদি অল্প সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান, তাহলে ভালোমানের কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে ৩/৬ মাসের একটি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করে নিতে পারেন। মনোযোগ সহকারে ৩/৪ মাস প্রেকটিস করলে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর মোটামুটি ধারনা অর্জন করতে পারবেন। পরবর্তীতে নিয়মিত কাজ করলে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ অভীজ্ঞতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন। 

শেষ কথা

ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখবেন সে বিষয়ে আমারা আপনাকে বেসিক ধারনা দিতে পেরেছি। আপনি যদি অন্যর প্রোডাক্ট এর প্রচার প্রচারনা করতে চান, তাহলে ট্রাডিশনাল মার্কেটিং তুলনায় সহজে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার টারগেটেড কাস্টমারদের কাছে নির্ধারিত পন্য বা সেবার প্রচার প্রচারনা করতে পারেন।

বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে এবং ভবিষ্যতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা আরো কয়েকগুন বৃদ্ধি পাবে। কজেই আপনার প্রোডাক্ট প্রমোট করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর হেল্প নিতে পারেন। সেই সাথে আপনি একজন ডিজিটাল মার্কেটার হতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর নিয়মগুলো ভালোভাবে আয়ত্ম করে নিতে হবে।
Next Post Previous Post
37 Comments
  • Peonmama Team
    Peonmama Team June 8, 2020 at 2:21 PM

    ভাইয়া আমি আপনার ব্লগের একজন নিয়মিত ভিজিটর। ইনকাম বিষয়ে আপনার ব্লগের সবগুলো পোস্ট দেখেছি। অসাধারন, অনবদ্য সব উপস্থাপনা। সত্যি বলতে বাংলা ভাষাতে এই রকম ব্লগ নাই বললেই চলে। বর্তমানে আমি অনার্স ২য় ইয়ারে পড়ছি, পাশাপাশি বিভিন্ন ব্লগ সাইট অনুসরন করি। ইনকাম বিষয়ে আপনার পোস্ট অনুসরন আমার আকাঙ্খা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আমরা কিছু বন্ধুরা উদ্যোক্তা হিসাবে একটি ক্লাসিফায়েড সাইট চালু করতে যাচ্ছি যেখানে মানুষ সকল কিছু কেনাবেঁচার জিনিস পোস্ট করতে পারবে। এই হিসাবে কিছু প্রচারনা ও ওয়েবসাইটের কাজ এগিয়ে চলছে। যাইহোক এই বিষয়ে এখানো কাঁচা আছি। তবে ই-কমার্স বিষয় এবং কেমন নাম সিলেকশন হবে এই বিষয় নিয়ে পরবর্তীতে পোস্ট করলে অনেকেই উপকৃত হবো। পরিশেষে আপনার জন্য শুভ কামনা।

    • Rashid
      Rashid June 9, 2020 at 7:52 PM

      ই-কমার্স নিয়ে পোস্ট করার ইচ্ছা অনেক আগে থেকে রয়েছে। খুব শীঘ্রই ই-কমার্স নিয়ে একটি বিস্তারিত পোস্ট শেয়ার করার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ...

  • Peonmama Team
    Peonmama Team June 10, 2020 at 11:11 AM

    অসংখ্যক ধন্যবাদ।

  • Peonmama Team
    Peonmama Team June 10, 2020 at 11:35 AM

    ভাইয়া,বর্তমানে ডোমেইন নামের আকাল পড়েছে। যতই দিন যাচ্ছে ভালো নামগুলো বুক হয়ে যাচ্ছে। ডোমেইন নাম নিয়েই আমার প্রায় ৫ মাস স্টাডি করতে হয়েছে এবং এই বিষয়ে প্রায় ৩০০০০৳ নষ্টও করেছি। কারনটা হলো বাংলা শব্দ নিয়ে ডোমেইন করলে যত ভোগান্তি! তবে আমার ইচ্ছা প্রথমে আমার জেলাতে ক্লাসিফায়েড সাইট+ইকমার্স ওয়েব সাইট চালু করতে যাচ্ছি এবং প্রচারনাও শুরু করতে যাচ্ছি। ভালো আশানুরুপ ফল পাইলে অন্যান্য জেলাতে স্পন্সরড করবো। এই জন্য ডোমেইন নামটা নিয়েছি পিয়নমামা (peonmama) ডট কম। এবং আয় বিষয়ক ধারনাগুলো সুস্পষ্টত পেতে আপনার সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করে থাকি। ইচ্ছা আছে যদি জীবনে উন্নতি করে থাকি তাহলে আপনাকে আমাদের পক্ষ হতে উপহার পাঠাবো। পরিশেষে ভাইয়া ভালো থাকবেন ও শুভ কামনা আপনার জন্য।

    • Rashid
      Rashid June 10, 2020 at 2:34 PM

      জেনে অনেক খুশি হলাম, সেই সাথে আপনার সফলতা কামনা করছি।

  • Advance Future
    Advance Future June 11, 2020 at 5:41 AM

    ভালো লেগেছে লেখাটি

    • Rashid
      Rashid June 11, 2020 at 3:01 PM

      Thanks, stay us to a future update

  • পিয়নমামা ডটকম (PeonMama)
    পিয়নমামা ডটকম (PeonMama) August 5, 2020 at 6:01 PM

    ভাইয়া আমি ও আমার বন্ধুরা মিলে প্রাথমিকভাবে ইকমার্স রিলেটেড ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছি। বাট ডোমেইন নাম নিয়ে সমস্যা পড়েছি। আসলে যতভালো ডোমেইন নাম ছিলো তার অধিকাংশই বুক হয়ে গেছে, বলা চলে অনেকটাই আকাল। সেই হিসাবে ডোমেইন নাম সিলেকশন করলাম “পিয়নমামা ডট কম” কিন্তু ইংরেজীতে রেজিঃ করতে গেলে বানান হিসাবে কোনটি সঠিক হবে বুঝতে পারছিনা যেমনঃ peonmama দিব! নাকি pionmama হবে? আসলে নামটা সিলেকশন করেছি আলিবাবা অনুকরন হিসাবে। পরিশেষে আপনার পরামর্শ পেয়ে উপকৃত হবো।

    • Rashid
      Rashid August 5, 2020 at 7:42 PM

      আপনি যেভাবে লিখুন না কেন, আপনাদের ব্লগের পাঠক সহজে ডোমেইন নামের স্পেলিং স্মরণ রাখতে পারবে না। কারণ “পিয়ন” শব্দটি বিভিন্নভাবে লেখা যায়। কাজেই এত গভীরে না গিয়ে যেকোন একটি ট্রাই করতে পারেন।

      আমার দৃষ্টিতে peonmama বেটার হবে। তবে ই-কমার্স সাইটের ক্ষেত্রে “পিয়ন মামা” শব্দটি মানানসই হবে বলে আমার মনে হয় না। যেহেতু ই-কমার্স সাইট করছেন, সেহেতু ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত এমন শব্দের সমন্বয়ে ডোমেইন নাম নিতে পারেন।

      মতামত আমার একান্তু ব্যক্তিগত, আপনার সাথে নাও মিলতে পারে। Finall cohice is yours...

  • পিয়নমামা ডটকম (PeonMama)
    পিয়নমামা ডটকম (PeonMama) August 6, 2020 at 9:51 AM

    ধন্যবাদ সাজেস্ট করার জন্য। আসলে তেমন ছোট, সহজ ও ভালো নামের ডোমেইন ফাঁকা পাইনি। মূলত আমরা ক্লাসিফায়েড সাইট ও শহরে ডোর টু ডোর সার্ভিস দেবার জন্য peonmama নামটা চুজ করেছি। অপরদিকে দেশে অথবা, কিকসা, যেমনখুশী ইত্যাদি নামে বিভিন্ন ইকমার্স সাইট চালু আছে বিধায় তাদের অনেকের নাম দেখে প্রথম দিকে বুঝার উপায় ছিলো না যে তারা কিসের সার্ভিস দিচ্ছে! সুতরাং মানুষ যাতে মনে রাখে ও সহজ বোধ্য হয় সেই হিসাবেই সহজ নাম খুঁজতে হয়েছে।

    • Rashid
      Rashid August 6, 2020 at 3:42 PM

      প্রবাদ আছে “নাম মানুষকে বড় করে না, মানুষ নামকে বড় করে”। সুতরাং peonmama নামেই চালু করতে পারেন। আপনার ব্যবসার ব্রান্ডিং তৈরি করতে পারলে মানুষ আপনার ডোমেইন নাম অবশ্যই খোঁজে নেবে।

      তাছাড়া যেকোন নামের ব্রান্ড তৈরি হওয়ার পর এসইও এর তেমন প্রয়োজন পড়ে না। তখন সার্চ ইঞ্জিন অটোমেটিক খোঁজে নেয়।

  • Unknown
    Unknown September 25, 2020 at 1:52 AM

    ভাই আপনার কথা গুলো আমার খুব ভালো লেগেছে। ভাই আমি অর্নাস চতুর্থ্ বর্ষে পরি আমার সরকারি জব করার কোন ইচ্ছা নেই আমি অনলািইনে কাজ করে ইনকাম করতে চাই কিন্তু আমি কি দিয়ে শুরু করবো বুঝতেছি না, আপনি কি আমায় একটু আমাকে সাহায্য করবেন যে আমি কি দিয়ে শুরু করবো

    • Rashid
      Rashid September 25, 2020 at 7:42 PM

      যদি দ্রুত ইনকাম করতে চান, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আপনার যেকোন কাজে অভীজ্ঞতা প্রয়োজন হবে।

      দীর্ঘদিন ইনকাম করতে চাইলে ব্লগিং এবং ইউটিউবিং এক সাথে করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আপনি ৬ মাসের আগে কোন টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। তবে ধৈর্য্যধারণ করে ৬ মাস কাজ করলে ৬ মাস পর প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রেও ব্লগিং এবং ইউটিউবিং সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে।

    • মো: শিমুল হোসেন
      মো: শিমুল হোসেন August 5, 2021 at 5:38 PM

      যদি তাড়াতাড়ি ইনকাম করতে চান তাহলে ফ্রিল্যান্সিং বেটার হবে। আবার ধৈর্য্য ধারণ করে বেশি টাকা ইনকাম করতে চাইলে ব্লগিং, ইউটিউবিং বেটার হহে

  • Advance Future
    Advance Future September 25, 2020 at 8:39 PM

    This comment has been removed by the author.

  • Unknown
    Unknown March 4, 2021 at 6:15 AM

    গুড কন্টেন্ট

    • Rashid
      Rashid March 4, 2021 at 9:41 AM

      Thank you...

  • Content Writer
    Content Writer June 4, 2021 at 8:54 PM

    ১. ইংরেজি সাইটের ক্ষেত্রে বাক্য ভুল হলে গুগল এডসেন্স পেটে সমস্যা হয়?
    ২. আপনার সাইটে রাইটার হিসেবে কেউ কাজ করে নাকি আপনি টাইম বের করে এতো বিস্তারিত লিখেন?
    ৩. আপনি সাধারণত ১০০০ অর্গানিক ভিউ এ এডসেন্স থেকে কত টাকা পান?

  • Content Writer
    Content Writer June 4, 2021 at 8:54 PM

    ১. ইংরেজি সাইটের ক্ষেত্রে বাক্য ভুল হলে গুগল এডসেন্স পেটে সমস্যা হয়?
    ২. আপনার সাইটে রাইটার হিসেবে কেউ কাজ করে নাকি আপনি টাইম বের করে এতো বিস্তারিত লিখেন?
    ৩. আপনি সাধারণত ১০০০ অর্গানিক ভিউ এ এডসেন্স থেকে কত টাকা পান?

  • Arman Hossain
    Arman Hossain June 10, 2021 at 1:10 PM

    ভাইয়া আমি ফেসবুক মার্কেটিং করতে চাই সেক্ষেত্রে মাস্টার/ক্রেডিট কার্ড লাগে, আমার মাস্টার/ক্রেডিট কার্ড নেই, আমি কিভাবে কাজ করতে পারি।

    • Rashid
      Rashid June 15, 2021 at 6:51 PM

      City Bank থেকে ভিসা কার্ড নিতে পারেন। তারা খুব সহজ শর্তে ভিসা কার্ড দিয়ে থাকে।

    • মো: শিমুল হোসেন
      মো: শিমুল হোসেন August 5, 2021 at 5:39 PM

      স্বাধীন মাস্টারকার্ড ভালো হবে।
      দয়া করে আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করে আসুন।
      আমার ওয়েবসাইট onlinetechnews71.blogspot.com

  • শাহীন
    শাহীন June 13, 2021 at 6:43 PM

    প্রত্যেকটা পয়েন্ট ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ন দিকনির্দেশনা বিশেষ করে যারা নতুন তাদের জন্য বেশ উপকারী হবে।

    • Rashid
      Rashid June 15, 2021 at 6:51 PM

      ধন্যবাদ... সাথে থাকুন।

  • Miji
    Miji July 26, 2021 at 9:02 PM

    স্যার আমিও একজন পুলিশ সদস্য আমি অনেকদিন ধরে ডিজিটাল মাকেটিং সংক্রান্তে বিষয়ে কয়েকটা কোর্স করছি। আশা করি সামনে ভাল কিছূ করতে পারবো। দোয়া চাই। ভাল লাগলো আপনার সাইটের সন্ধান পেয়ে?

    • Rashid
      Rashid July 27, 2021 at 4:10 PM

      বাংলাদেশ পুলিশ সদস্য হিসেবে আপনিও অনলাইন প্লাটফর্মে কিছু করার চেষ্টা করছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। আপনার সফলতা কামনা করছি।

      ধন্যবাদ...

  • Unknown
    Unknown August 20, 2021 at 4:02 PM

    nice

  • Advance Future
    Advance Future August 31, 2021 at 6:42 PM

    দীর্ঘদিন যাবত ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে অনেক কিছু শিখেছি। সত্যি কথা বলতে এখনো প্রফেশনাল ভাবে শুরু করতে পারিনি। তবে হ্যা ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কেউ কিছু জানতে চাইলে মোটামুটি পরামর্শ দিতে পারবো। অনেক ব্যস্ততার কারনে নিজের জানা অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করার সময় পাইনা। যতটুকু সময় পাই, কাজের প্রয়োজনে যে বিষয়ের উপর কাজ করতে হয় সেটিকে আপনাদের কাছে শেয়ার করতে চাই। চাইলে এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন।@ infoplusbd.blogspot.com

    • Rashid
      Rashid August 31, 2021 at 11:56 PM

      Thank you...

  • Unknown
    Unknown February 20, 2022 at 3:29 PM

    keep up the good work

  • Fahim Habib
    Fahim Habib March 25, 2022 at 5:14 PM

    তথ্যবহুল একটি আর্টিকেল।

    • Rashid
      Rashid March 26, 2022 at 7:32 PM

      ধন্যবাদ...

  • Anonymous
    Anonymous November 11, 2022 at 11:24 AM

    অনেক সুন্দর এবং প্রয়োজনীয় তথ্য পাবলিশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
    আমি এই ব্লগে নিয়মিত ভিজিট করে অনুপ্রাণিত হওয়ার পর একটি ডোমেইন নাম নিয়ে(shobartech.com) ওয়েবসাইট শুরু করি।
    আলহামদুলিল্লাহ এখন পর্যন্ত ভাল অবস্থানে আছি।
    সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন ।

  • Ashraful islam
    Ashraful islam November 11, 2022 at 11:25 AM

    অনেক সুন্দর এবং প্রয়োজনীয় তথ্য পাবলিশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
    আমি এই ব্লগে নিয়মিত ভিজিট করে অনুপ্রাণিত হওয়ার পর একটি ডোমেইন নাম নিয়ে(shobartech.com) ওয়েবসাইট শুরু করি।
    আলহামদুলিল্লাহ এখন পর্যন্ত ভাল অবস্থানে আছি।
    সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন ।

    • Rashid
      Rashid November 16, 2022 at 4:21 PM

      ধন্যবাদ... শুনে ভালো লাগল।

  • DOC RUSH
    DOC RUSH February 7, 2023 at 7:45 PM

    এটা আমার অগ্রগতির সাক্ষ্য। আমি ইন্টারনেটে একজন ব্যক্তির সাক্ষ্য পেয়েছি যিনি সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে তিনি তার হাসপাতালের একজন রোগীকে $600,000USD-এ বাঁচানোর জন্য তার একটি কিডনি NA HEALTH CARE ( NAHEALTHCARE.IN@GMAIL.COM  ) কে বিক্রি করেছেন তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি
    এখনই NA HEALTH CARE-এর সাথে যোগাযোগ করুন যদি তারা আমার একটি কিডনি কিনতে আগ্রহী হন এবং সৌভাগ্যবশত আমার জন্য, তিনি বলেছিলেন যে তাদের হাসপাতালে বিশ্বাস করার জন্য তাদের সবসময় কিডনি প্রয়োজন এবং তারা যতটা সম্ভব কিনতে ইচ্ছুক। তাই, আমরা আলোচনা করেছি এবং বহু বছর দারিদ্র্যের মধ্যে থাকার পর আজ আমি এতটাই খুশি যে আমি আমার একটি কিডনি $600,000 ইউএসডি দামে বিক্রি করেছি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই। আপনি একটি আত্মা বাঁচাতে আপনার একটি কিডনি বিক্রি করতে চান নাকি আপনি কিনতে চান?
    একটি কিডনি তারপর ইমেলের মাধ্যমে NA হেলথ কেয়ারের সাথে যোগাযোগ করুন: NAHEALTHCARE.IN@GMAIL.COM
    হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর: +19099134258

  • Arju Hossan
    Arju Hossan July 18, 2023 at 2:36 PM

    আমি আপনার সাইটের একজন নিয়মিত পাঠক। আপনার সাইট দেখে অনুপ্রেরণা পেয়ে আমি globalicworld.com সাইটটি শুরু করেছি। দুআ করবেন ভাই।

Add Comment
comment url