প্রেমের কবিতা: সেরা ৫০টি ভালোবাসার কবিতা💕

ভালোবাসার কবিতা (Valobasar Kobita): কবিতা পড়তে ও শুনতে আমরা সবাই পছন্দ করি। বিশেষকরে প্রেমের কবিতা (Premer Kobita) এর প্রতি আমাদের সবার আগ্রহ একটু বেশি থাকে। আজ আমরা ৫০টি অসম্ভব সুন্দর প্রেমের কবিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। প্রেম ভালোবাসার প্রতি যাদের দূর্বলতা আছে, তাদের অবশ্যই এই ৫০টি রোমান্টিক প্রেমের কবিতা (Bangla Premer Kobita) পছন্দ হবে।
প্রেমের কবিতা: সেরা ৫০ টি ভালোবাসার কবিতা

প্রেম পুরোপুরি মানসিক বিষয়। এটি মানুষের মনে তৈরি হয়। যখন কোন মানুষের মনে প্রেম ভালোবাসার আবেগের উপস্থিতিতে ঘটে তখন সেই ব্যক্তি সহজে প্রেমের কবিতা লিখতে পারে। যে ব্যক্তি কখনো প্রেমে পড়েনি সে কখনো ভালোবাসার কবিতা লিখতে পারবে না। কথায় আছে মানুষ যখন প্রেমে পড়ে তখন সে কবি হয়ে উঠে। আর সেই ক্ষণে একজন ব্যক্তি খুব সহজে ভালবাসার কবিতা (Valobashar Kobita) এবং রোমান্টিক প্রেমের কবিতা লিখতে পারে।




আরো পড়ুন—

প্রেমের কবিতা (২০২৪)

ভালোবাসা নিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন “ভালোবেসে সখি নিভৃত যতনে আমার নামটি লিখ তোমার মনেরও মন্দিরে”। শুধু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর নয়, যুগে যুগে যত জ্ঞানি গুনি কবি এর আবির্ভাব হয়েছে, তারা সকলেই কবিতার মাধ্যমে প্রেম ভালোবাসার স্লো গান গেয়েছেন। আর বর্তমান যুগ ইন্টারনেট ও টেকনোলজির যুগ হওয়ার কারনে আমরা রোমান্টিক প্রেমের কবিতা এবং ভালোবাসার কবিতার মাধ্যমে নিজের প্রিয়জনকে নিজের ভালোবাসার কথা প্রকাশ করি।

সেরা ৫০ টি ভালবাসার কবিতা

আমরা সম্প্রতি সময়ের বেশ জনপ্রিয় কয়েকটি রোমান্টিক প্রেমের কবিতা সংগ্রহ করেছি। এই ভালোবাসার কবিতা গুলো নতুন প্রজন্মের কবিরা লিখেছেন। আমার বিশ্বাস যারা অসম্ভব সুন্দর প্রেমের কবিতা খুঁজছেন কিংবা ভালোবাসার কবিতা পড়তে পছন্দ করেন, তাদের কাছে এই ৫০টি কবিতা অবশ্যই পছন্দ হবে।

শোনো, কাজল চোখের মেয়ে
আমার দিবস কাটে, বিবশ হয়ে
তোমার চোখে চেয়ে।

দহনের দিনে, কিছু মেঘ কিনে
যদি ভাসে মধ্য দুপুর
তবু মেয়ে জানে, তার চোখ মানে
কারো বুক পদ্মপুকুর।

এই যে মেয়ে, কজল চোখ
তোমার বুকে আমায় চেয়ে
তীব্র দাবির মিছিল হোক।

তাকাস কেন?
আঁকাস কেন, বুকের ভেতর আকাশ?
কাজল চোখের মেয়ে
তুই তাকালে থমকে থাকে
আমার বুকের বাঁ পাশ।

তোমার চোখ চেয়েছি বলে, এমন ডুবল আমার চোখ
অমন অথৈ জ্বলে রোজ, আমার ডুব সাঁতারটা হোক।
শোনো কাজল চোখের মেয়ে, আমি তোমার হব ঠিক
তুমি ভীষণ অকূল পাথার, আমি একরোখা নাবিক।
শোনো, জ্বল ছল ছল কাজল চোখের কন্যা সর্বনাশী,
আমি তোমায় ভালোবাসি।

জল জমে থাকা কাচে
জ্বর হয়ে থাকা আঁচে
তুমিও থাকো অসুখের মতো
কী ভীষণ ছোঁয়াচে!

এমন জলের রাতে নদী হই যদি
যদি—তোমাকে জমা রাখি বুক অবধি।
আধারের রং ছুঁয়ে তুমিও খানিক
আমায় জমিয়ে রেখো বুকের বাঁ দিক।

একটা তোমার মতো চাঁদের জন্য মেয়ে
আমি জোছনা সকল হেলায় ভুলে থাকি।
একটা তোমার মতো মনের জন্য মেয়ে
আমি হৃদয়টাকে যত্নে তুলে রাখি।

আমাদের এই দেখা সময়ের ভুল
তবু বুক ব্যথা-ভার, চক্ষু আকুল।

ততটুকু দিতে নেই
যতটুকু দিলে অচেনা মিছিলে
হারাবে নিজেকেই।

কিছুটা নিজেরও থাক
নিখোঁজ খবর- ছাপা পত্রিকা
ঠিকানাটা খুঁজে পাকা।

ততটুকু হোক দেনা
যতটুকু হলে, ফিরে আসবার
পথটুকু থাকে চেনা।

আবার যখন দেখা হবে, খানিক যদি থমকে যাই
বেলিফুলের গন্ধে কোথাও, একটুখানি চমকে যাই।

তাকিও তখন চোখ
হাসিমুখের বুকের ভেতর কে কেঁপে যায় শোকে!

তোমার হাসিতে মুগ্ধ হয়েছি আমি 😇
আমার অনুভবে শুধুই তুমি ❣️🥀

আমারতো আকাশ নেই, তবু উড়াবো বলে কিনে এনেছি একটি রঙিন ঘুড়ি।
ধরে রাখার মতো সুতোও নেই, তবু নাটাই নিয়ে শূণ্য বিলে নীরবে একেলা চলি।
প্রেমের কবিতা: Premer Kobita

তোমার একটা নাম থাকুক আমার দেয়া
মেঘের মেয়ে, নদী কিংবা জলজ খেয়া
আমার দেয়া একখানা নাম তোমার থাকুক
না হয় আমি হারিয়ে গেলেও
একলা একা সন্ধা তারা
সেই নামেই তোমায় ডাকুক।

তোমার জন্য কাপছে কেন মন
কাঁদছে কেন শূণ্য চোখের কোণ?
তোমার জন্য বুকের গহিন জুড়ে
আমার সময় নিঃশব্দ, নির্জন।

এলোকেশী মেয়ে কার পথ চেয়ে, মেলেছিলে ঐ কেশ?
পথ চাওয়া শেষে, এসেছিল কী সে? ছুয়ে মেঘ অনিমেষ।
এলোকেশী মেয়ে, মেঘবেলা ধেয়ে, এসেছে কী তার ঢল?
তুমি কার জলে, তোমার ভেজালে? ভাসালেই প্রেমাচল!
দেখেনিতো চেয়ে, এলোকেশী মেয়ে, আর কেউ ছিল তার
কী বিষাদে পুড়ে, তার বুক জুড়ে, কেঁদেছে বিরহী সেতার।

আমার তকেই ভাবা ভোর
চোখে শাপলা-শালুক ঘোর।
থাকুক শাপলা-শালুক ঘোর
থাকুক টুপ জেলেদের ভোর
থাকুক ছন্নছাড়া রাত
তর হাতের ভীতর হাত।

থাকুক তর পায়েতে পা
তুই অন্যতো কেউ না।

তুমি হলে রোদ
হোক অবরোধ
শহরের মেঘে।

তুমি হলে জল
স্নান অবিরল
তোমাকেই মেখে।

আর যদি কেউ
হতে চায় ঢেউ
অবছাড়া চোখে।

ভেকে যাক আজ
অচেনা জাহাজ
তুমি নেই শোকে।

মুক্তো কী জানে, কী বেদনা পুষে রাখে ঝিনুক বুকে?
কতটুকু মেঘ ভার বৃষ্টি অসুখে!

তুমি জানো কী, কতটুকু হয়ে গেলে আমি শূণ্য
তুমিও তোমার মতো হলে পূর্ণ।

কিছুটা মেঘের মতো ছাড়া যদি নামে
কিছুটা বিষাদ আসে বিকেলের খামে
সকালের মিহি রোদে, রাত হয়ে যায়
জেনে নিও, খুঁজে আর পাবে না আমায়।

বিকেল ঘুমিয়ে গেলে না ঘুমানো চোখ
জেগে থাক জানালায়, সন্ধা আসুক
বসুক খানিক পাশে লুকিয়ে অসুখ
রাত্রির কিছু তারা ব্যথায় খসুক।
রাত্রি ঘুমিয়ে গেলে না ঘুমানো ক্ষত
জেগে থাকা আকাশের তারার মত।

কিছু নোনাজল জমা জানালা জানুক
অসুক লুকিয়ে রাখে মানুষের বুক।

শুনছো মেয়ে?
এই যে ধূসর মেঘের খামে, বর্ষা নামে
জমছে কত ফুলের রেণু চুলের ভাঁজে।
দখিন হাওয়া হঠাৎ এসে, আঁচল ভাসায় সুবাস মেখে
জলের কণা আলতো করে গাল ছুঁয়ে যায়।
ছুতে পারো, তুমিও খানিক?

শুনছো মেয়ে?
একটা চিঠি ঘুরে বেড়ায় এই শহরে, ঠিকানা নেই
সেই চিঠিটার বুকের ভেতর জমছে বথা সঙ্গোপনে
বাতাস ভারী দীর্ঘশ্বাসে, কি যায় আসে!

শুনছো মেয়ে?
এই শহরে একটা বুকে
তোমার নামে সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা নামে!
ভালোবাসার কবিতা: Valobashar Kobita

গভীর প্রেমের কবিতা

চিঠির ভাঁজে জমেছিল মন
মনের ভাঁজে তোমার নিমন্ত্রণ
অথচ সে ঘুরল শহর জুড়ে
ঠিকানাহীন দীর্ঘ নির্বাসন।

লুকিয়ে রাখা চিঠি
চিঠির ভাজে আস্ত মানুষ থাকে
এই শহরের ফুলগুলোও জানে
মানুষ তার মনের জন্য সুবাস জমা রাখে।

তোমার চুড়ির শব্দ থাকুক
লুকোচুরির পদ্য থাকুক
দূরেই থেকো তুমি।
এই বরষায়, কাপুক তবু
হৃদয় জলজভূমি।

ততটুকু দিও
যার পরে আর
কিছু চাইবার
বাকি না থাকে!
ততটুকু নিও
যার পার আর
পিছু চাইবার
ফাঁকি না থাকে।

এফোঁড়া ওফোঁড়া বুকে স্মৃতির সেলাই
ভেজা রাত, ভেজা হাত, হিসেব মেলাই
কতটা জীবন দিলো, নিলো কতটুকু?
দিন শেষে-
আমিই আমার আর এই পথটুকু।

যেটুকু হেঁটেছি এক, নিজের চোখে
সেটুকুই থেকে গেল সুখে অসুখে।
যেটুকুর আলো জ্বেলে ডেকেছিল কেউ
তার সব চোরাবালি, আড়ালের ঢেউ।

এফোঁড় ওফোঁড় বুকে, স্মৃতির সুতো
সুইয়ের ডগায় বোনে লুকানোর ছুঁতে।

আমিও চলে যেতেই পারতাম, তোমার মতো
আমার বুকেও জমছে অথৈ কান্না, ক্ষত
তবুও আমি থেকেই গেছি, কোথাও যাইনি
তোমায় ভুলে, অন্য মানুষ খুঁজতে চাইনি!

যতটুকু চেয়েছি যেতে
ততটুকু হেঁটে এসে দেখি
ঢের পথ বাকি।

এ যেন জীবন
ষোল আনা কাটিয়ে দেখি
পুরোটাই ফাঁকি।

কোথাও যাইনি জানি, এখানেই আছি
যেখানে ভালোবাসা এত কাছাকাছি।
যেখানে ফিসফিস মায়া— কতকথা
যেখানেই তুমিময়, কী ভীষণ আকুলতা!

আরেকবার জলে রাখো মুখ
আরেকবার ঢেউয়েরা আসক
তারপর ভেঙ্গে যাক মুখের আদল
জলের আয়না জুড়ে অচেনা ভাসুক।

আরেকবার চোখে রাখো চোখ
আরেকবার আসুক অসুখ
তারপর জেগে থাক অসুখী মানুষ
রাতের জানালা জুড়ে যন্ত্রণা বুক।

আরেকবার জানুক ঝিনুক
আরেকবার নিজেকে চিনুক
তারপর বেদনার জীবন ভেঙ্গে
নিজের জন্য কিছু মুক্তো কিনুক।

তাকাস কেন?
আঁকাস কেন বুকের ভেতর আকাশ?
কাজল চোখের মেয়ে
তুই তাকালে থমকে থাকে
আমার বুকের বাঁ পাশ।

অমন কাজল চোখে তুমি চেয়ো রোজ
ওই চোখে জীবনের হিসেবে সহজ।
গভীর প্রেমের কবিতা

শোনো, জল ছলছল কজল চোখের কণ্যা সর্বনাশী
আমি তোমায় ভালোবাসি।

কুড়িয়ে নিয়েছি সব, জমা ছিল যত
পুরনো স্মৃতির দিন, বেদনার ক্ষত
পিছুটান পিছে ফেলে সীমানা ছাড়াই
তবু যেতে যেতে কেন থমকে দাঁড়াই।

উড়িয়ে দিয়েছি ঘুড়ি সুতোটুকু কেটে
পুড়িয়ে দিয়েছি চিঠি জমা বুক পকেটে
এখন পথিক হয়ে পথে পা বাড়াই
তবু যেতে যেতে কেন থমকে দাঁড়াই।

আয়নায় জেগেছিল কাজল দু চোখ
লেগেছিল লাল টিপ, স্মৃতির সূচক
তার সব ভেঙ্গে কাচ দু পায়ে মাড়াই
তবু যেতে যেতে কেন থমকে দাঁড়াই।

যেতে হলে, এখুনি যাও
পরে গেলে মায়া বেড়ে যাবে,
থেকে গেলে, এখুনি থাকো
বেলা শেষে ছাড়া বেড়ে যাবে।

সেখানে তোমর চিহ্ন, যেখানে পেতেছি বুক
ছিন্ন পালের নৌকা জেনেছে, ভেসে যাওয়া যতটুক।
সেখানে তোমার সীমানা, যেখানে থেমেছি আমি
তুমি ছাড়া আর সকলে জেনেছে, তুমি অন্তর্যামী।

একটা তোমার মতো চাঁদের জন্য মেয়ে
আমি জোছনা সকল হেলায় ভুলে থাকি।
একটা তোমার মতো মনের জন্য মেয়ে
আমি হৃদয়টাকে যত্নে তুলে রাখি।

কিছু ঋণ তোর কাছে রেখে
বাকি ঋণ হিসেবে চুকাই।
কিছু দিন তোর ছাড়া মেখে
তোর চোখে নিজেরে লুকাই।

মরে রেখো, ছিল কেউ কাছে
দূরের তারার মতো, আরো দূরে গিয়ে,
এখনো সে আছে।

মনে রেখো, ছিল কেউ পাশে
কাছের মায়ার মতো, মেঘ হয়ে,
দূরের আকাশে।

মনে রেখো, দহনের দিনেও যে ছায়া হয়ে থাকে
ছুঁয়ে দিও তাকে।
যে হয়েছিল ভোর, অথৈ আদর, নামহীন নদী,
একা লাগে যদি
মনে রেখো তাকে।

আবার যখন দেখা হবে
খানিক যদি থমকে যাই,
বেলিফুলের গন্ধে কোথাও
একটুখানি চমকে যাই।

তাকিও তখন চোখে
হাসি মুখে বুকের ভেতর কে কেঁপে যায় শোকে।

তোমার একটা নাম থাকুক আমার দেয়া
মেঘের মেয়ে, নদী কিংবা জলজ খোয়।
আমার দেয়া একখানা নাম তোমার থাকুক
না হয় আমি হারিয়ে গেলেও
একলা একা সন্ধ্যা তারা
সেই নামেই তোমায় ডাকুক।

এই যে অভিমান জমে বুক ভার
থমথমে মেঘে ভেসে যাই
ডেকে দেখো আর একবার
সব ভুলে—
কত কাছে এসে যাই!
গভীর প্রেমের কবিতা

তীব্র প্রেমের কবিতা

তোমার জন্য কাপছে কেন মন
কাঁদছে কেন শূণ্য চোখের কোণ?
তোমার জন্য বুকের গহিন জুড়ে
আমার সময় নিঃশব্দ, নির্জণ।

এই যে দুপার,
এমন করে রোদের গাঁয়ে সওয়ার হয়ে এলে
রাত্রি এলো অন্ধকারে চড়ে।
সন্ধা জানে বিষন্নতার মানে
বিকেল এলো গুটিয়ে অভিমানে।
এমন করে তুমিও যদি আসো
বলবে কি কেউ, তোমার আসার মানে
তুমি আমায় ভালোবাসো?

আমার বৈশেখী চুপ দুপুর
তোর নিদাঘ জলের পুকুর
তুই মেখ হয়ে যা মেয়ে
তুই জল হয়ে যা মেয়ে
ঝড়ুক বৃষ্টি টাপুর টুপুর।

আমি একলা একা শুনি
তোর জন্য যে পথ শুনি
কখন বুকের ভেতর কেঁপে
বেজে উঠবে তোর নূপুর।

তোমার জন্য কাঁদলে মন, নাম কি তার?
নিঘুম রাত জাগলে একা, দাম কি তার?
মোতার জন্য শূণ্য হলে, দায়টা কার?
অশ্রুজলে ভাসলে একা, যায়টা কার?
তোমার জন্য পথ হারালে, ভাববে কে?
নিখোঁজ খবর আসছে জেনে, কাঁদবে কে?
তোমার জন্য লিখলে চিঠি, পড়বে কে?
‘ভাববো না আর’ ভেবেও রোজ, লড়বে কে?

তোমার জন্য জ্বর বাঁধালে, মাপবে কে?
খানিক ছুঁয়েই লুকিয়ে একা, কাঁপবে কে?

তোমার জন্য নিঃস্ব হলে, নাম কি তার?
বোকাইতো সে, প্রেমিক বলে, দাম কি তার?

ওই যে রোদের মতো দেখো
ওর ভেতরেও মেঘ রয়েছে কিছু
যেমন, হাসির ভেতর কান্না থাকে রাখা।

ওই যে প্রেমের মতো দেখো
ওর ভেতরেও ফাঁকা রয়েছে কিছু
যেমন, ‘ভালো আছি’র ভেতর ‘খারাপ থাকা’।

পথের ধুলোয় পায়ের ছাপটি আঁকা
ছাপের ভেতর মন কেমনের সুর।
চলে গিয়ে চোখের আড়াল হলেও
মনের আড়াল কোথায়, কত দূর?

ততটুকু যেও, যতটুকু গেলে ফিরে আসা যায়
দূরের জাহাজ যদি ডাকে
তবু—
ফিরে এসে, তীরে ভাসা নায়।

দূরের জলের বুকে ভাসা যায় শুধু
তীর জানে, নোঙরের ঠিকানা কোথায়!

রেখে যাওয়া দাগ কেউ চেনে
কেউ চেনে স্মৃতিদের রং
কেউ কেউ জমা করে রোখে, দুঃখ বরং।

কেউ কেউ চোখ ঢেকে কাঁদে
কেউ চুপিচুপি রাখে খোঁজ।

মনে রাখা, নাকি ভুলে যাওয়া?
কী বেশি সহজ?

চেনা রাস্তায়, দেখা হয়ে গেলে
হয়ে যাবে কী, খুব অচেনা?
কেনা সস্তায়, ঢাকা সানগ্লাস
চোখে রয়ে যাবে কী, জল অজানা!

তুই গেঁথে যাস আরো, যতই ছাড়াতে চাই
তুই ক্ষতই বাড়াস, যতই সারাতে চাই
তুই অর্ধেক ব্যথা, অর্ধেক ব্যথাহীন
তুই বুকের ভেতর একটা আস্ত সেফটিপিন।
তীব্র প্রেমের কবিতা

আমাকে ভুলে যেও রোজ
ভুলে যেও কতটা নিখোঁজ।

মরে রেখো কেউ কেউ থেকেও থাকে না
পদভাবে এতটকু চিহ্ন আঁকে না।

কেউ কেউ না থেকেও থাকে
চুপি চুপি রোজ ছুঁয়ে যায়-
স্মৃতির গভীর জল নদীটির বাঁকে।

আমাকে ভালোবাসে?
না।
তাহলে?
তাহলে কিছুই না!
কিন্তু রোজ বিকেল, ঠিক সন্ধার আগে ছাঁদে আসো যে?
কিভাবে জানো?
কিভাবে আবার? আমাদের ছাঁদ থেকে দেখা যায়!
রোজ দেখ?
হু!
তার মানে, তুমিও রোজ বিকেলে ছাঁদে আসো?
আসি!
তাহলে তুমি আমাকে ভালোবাসো?

যে ছেলেটা চড় খেয়ে চুপ রয়
যে মেয়েটা গালি খেয়ে নিশ্চুপ
তারো বুকে রোজ জমা ঘৃণারা
একদিন হয়ে যায় বিষ খুব।

যে মেয়েটা স্বাদ পেতে ক্ষমতার
ভূলে যায় ভালোবাসা, মমতা
সে মেয়েটা বুঝে না কী কখনো
তাকে ‘এক’ করে দেয় ‘ক্ষমতা’।

যে ছেলেটা ‘নেতা’ হয়ে ভুলে যায়
মানুষের মনটাকে জিততে
জানে কী সে ‘ভালোবাসা’ যা দেখে
আসলে তা ভয় পাওয়া মিথ্যে।

শেষ কথা

আমাদের সংগ্রহ করা সেরা ৫০টি প্রেমের কবিতা (Premer Kobita) গুলো আপনার কাছে কেমন লেগেছে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ৫০টি ভালোবাসার কবিতা (Valobasar Kobita) এর মধ্যে কোন কবিতাটি আপনার কাছে সবচাইতে ভালো লেগেছে তাও আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। সেই সাথে প্রেমের কবিতা গুলো ভালো লাগলে ফেসবুকে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Next Post Previous Post
32 Comments
  • Unknown
    Unknown August 3, 2021 at 5:35 PM

    অসাধারণ অনেক ভালো লাগলো।

    • Best T-shirt Design
      Best T-shirt Design January 21, 2023 at 7:25 PM

      রোমানিয়ার জন্য জরুরী নিয়োগ
      1. কার টিনস্মিথস - 06 জন।
      2. কার পেইন্টার - 06 জন।
      সু্যোগ - সুবিধা
      1. বেতন - 600-700 ইউরো।
      2. বাসস্থান- বিনামূল্যে
      3. খাবার - বিনামূল্যে
      4. কাজের ঘন্টা - 50 ঘন্টা/ সপ্তাহ
      Mobile : +8801602591706
      Whatsapp : +971524277678
      Email : contact.bangladesh@navonjobs.com

    • Anonymous
      Anonymous August 21, 2024 at 9:35 PM

      Ami kobita dite cai

  • Md.Mahfuzur Rahman
    Md.Mahfuzur Rahman August 14, 2021 at 12:29 PM

    অনেক ভালো hoyeche. copy korar system ta dile aro suvida hoto

  • Unknown
    Unknown November 11, 2021 at 11:10 PM

    Oh,Thank you veery much

  • Unknown
    Unknown December 26, 2021 at 8:19 PM

    তোমার চোখে চেয়েছি বলে
    এমন ডুবল আমার চোখ,
    অমন অথৈ জলে রোজ
    আমার ডুব সাঁতারটা হোক।
    এই কবিতাটি কার লেখা; জানতে ইচ্ছে করে।

    • Anonymous
      Anonymous August 2, 2022 at 10:55 PM

      Sadat Hossain

    • Anonymous
      Anonymous October 1, 2023 at 12:00 AM

      লাইনগুলো কবি সাদাত হোসাইন এর "কাজল চোখের মেয়ে" কবিতার অংশবিশেষ। (তিনি একাধারে বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য কবি, গল্পকার ও ঔপন্যাসিক)

    • Anonymous
      Anonymous October 1, 2023 at 12:04 AM

      লাইনগুলো কবি সাদাত হোসাইন এর "কাজল চোখের মেয়ে" কবিতার অংশবিশেষ। (তিনি একাধারে বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য কবি, গল্পকার ও ঔপন্যাসিক)

  • Unknown
    Unknown December 26, 2021 at 8:20 PM

    তোমার চোখে চেয়েছি বলে
    এমন ডুবল আমার চোখ,
    অমন অথৈ জলে রোজ
    আমার ডুব সাঁতারটা হোক।

    উপরে কবিতাটি কার লেখা?

    • Anonymous
      Anonymous December 8, 2022 at 10:41 AM

      কবিতাগুলোতে লেখকের নাম দিলে ভালো হতো

  • Unknown
    Unknown January 13, 2022 at 11:31 PM

    কবির নামসহ দেওয়া দরকার।

    • Rashid
      Rashid January 17, 2022 at 12:00 PM

      দেওয়ার চেষ্টা করা হবে...

  • Unknown
    Unknown March 8, 2022 at 12:36 AM

    কবির নাম সহ দিলে ভালো হতো।

  • Priyankar kopali
    Priyankar kopali April 30, 2022 at 9:25 AM

    অনেক ভালো লাগলো

    • Rashid
      Rashid April 30, 2022 at 9:13 PM

      ধন্যবাদ...

  • Anonymous
    Anonymous May 5, 2022 at 4:53 PM

    লেখকের নাম কেন নেই...?

    • Rashid
      Rashid May 17, 2022 at 6:39 PM

      ঠিক আছে। লেখকের নাম প্রকাশ করা হবে।

  • Anonymous
    Anonymous September 29, 2022 at 12:28 AM

    তোমার হাসিতে
    মুগ্ধ হয়েছি আমি 😇
    আমার অনুভবে শুধুই তুমি ❣️🥀
    লেখক ঃঃ মারুফ তালুকদার
    মন চাইলে পোষ্ট করতে পারেন vai ❣️

    • Rashid
      Rashid September 30, 2022 at 11:29 PM

      এতটুকোই নাকি আরো আছে...

  • Anonymous
    Anonymous October 19, 2022 at 2:14 AM

    আমারতো আকাশ নেই
    তবু উড়াবো বলে কিনে এনেছি
    একটি রঙিন ঘুড়ি,
    ধরে রাখার মতো সুতোও নেই
    তবু নাটাই নিয়ে শূণ্য বিলে
    নীরবে একেলা চলি।

  • Anonymous
    Anonymous November 13, 2022 at 4:52 PM

    overall valoi chilo

    • Rashid
      Rashid November 16, 2022 at 4:19 PM

      ধন্যবাদ...

  • Anonymous
    Anonymous December 15, 2022 at 12:36 AM

    nice

  • Anonymous
    Anonymous December 15, 2022 at 12:38 AM

    onek valo laglo

  • Jemi
    Jemi February 4, 2023 at 12:34 AM

    অসধারন লিখেছেন

  • DOC RUSH
    DOC RUSH February 7, 2023 at 7:45 PM

    এটা আমার অগ্রগতির সাক্ষ্য। আমি ইন্টারনেটে একজন ব্যক্তির সাক্ষ্য পেয়েছি যিনি সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে তিনি তার হাসপাতালের একজন রোগীকে $600,000USD-এ বাঁচানোর জন্য তার একটি কিডনি NA HEALTH CARE ( NAHEALTHCARE.IN@GMAIL.COM  ) কে বিক্রি করেছেন তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি
    এখনই NA HEALTH CARE-এর সাথে যোগাযোগ করুন যদি তারা আমার একটি কিডনি কিনতে আগ্রহী হন এবং সৌভাগ্যবশত আমার জন্য, তিনি বলেছিলেন যে তাদের হাসপাতালে বিশ্বাস করার জন্য তাদের সবসময় কিডনি প্রয়োজন এবং তারা যতটা সম্ভব কিনতে ইচ্ছুক। তাই, আমরা আলোচনা করেছি এবং বহু বছর দারিদ্র্যের মধ্যে থাকার পর আজ আমি এতটাই খুশি যে আমি আমার একটি কিডনি $600,000 ইউএসডি দামে বিক্রি করেছি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই। আপনি একটি আত্মা বাঁচাতে আপনার একটি কিডনি বিক্রি করতে চান নাকি আপনি কিনতে চান?
    একটি কিডনি তারপর ইমেলের মাধ্যমে NA হেলথ কেয়ারের সাথে যোগাযোগ করুন: NAHEALTHCARE.IN@GMAIL.COM
    হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর: +19099134258

  • Moshin
    Moshin February 25, 2023 at 1:01 AM

    Nice

  • Anonymous
    Anonymous March 6, 2023 at 12:16 AM

    Thankuu 😁😁

  • Nish Kabbo
    Nish Kabbo April 10, 2023 at 2:58 PM

    আমি নিশি রহমান নিশ কাব্য থেকে বলছি। আমি বাংলা কবিতা/ Bangla Poetry লিখতে আগ্রহী। লেখালেখির সাথে আমার সম্পর্ক অল্প বয়সে শুরু হয়েছিল এবং সময়ের সাথে সাথে আরও শক্তিশালী হয়েছে। For more poetry visit কবিতা

  • Anonymous
    Anonymous May 12, 2024 at 8:46 PM

    Khub sundor hoye che bhaiya... onnak valo laglo pore...

  • Anonymous
    Anonymous May 12, 2024 at 8:46 PM

    Khub valo laglo pore ... Khub sundor hoye che bhaiya kobita gulo ....

Add Comment
comment url